১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে ঘাতকের নিষ্ঠুর ও হিংস্রতম আক্রমণে সপরিবারে শাহাদতবরণ করেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চরম নৃশংসতার সঙ্গে হত্যা করা হয় তার পরিবারের নারী-শিশুদেরও।
বিভীষিকাময় এ হত্যাকাণ্ডের কথা আমার যতবারই মনে পড়ে, শোকের মাতমে ততবারই বুক ডুকরে কেঁদে ওঠে। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন উপলক্ষ্যে শেখ কামাল ভাইসহ মাঝরাত অবধি আমরা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে দলবেঁধে কাজ করছিলাম।
কাজের এক ফাঁকে রাত ৯টার দিকে প্রিয় অনুজ, বরগুনা জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রশীদকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও তৎকালীন পানিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু তখন বাকশালের বিভিন্ন ফ্রন্ট গঠন করছেন। আমি বরগুনাতে যুবলীগ বা শ্রমিক লীগ যে কোনো একটা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলে সেরনিয়াবাত সাহেব আমাকে যে কোনো একটা ফ্রন্টের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়েই দেখা করতে গিয়েছিলাম।