৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশের দিন অফিসেই ছিলেন সাজ্জাদ হোসাইন। নিজ কর্মস্থল সোনালী ব্যাংকে। শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না, মাথাব্যথা ও সর্দি-জ্বর। সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বিসিএসের ফল নিয়ে অস্থিরতা। তাই একটু আগেভাগেই বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন কখন ফল পাবেন। সন্ধ্যা সাতটার পর সাজ্জাদের হাতে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত ফল, প্রথমে নন-ক্যাডার তালিকায় নজর দেন। স্ত্রীকে বলেন, ‘আমার রোল নম্বরটা নিয়ে তুমিই দেখো, আমি আর দেখব না।’
স্ত্রী প্রথমে প্রশাসন ক্যাডারে দেখেন, এরপর পরিবার পরিকল্পনা। সবার শেষে নজর দেন পররাষ্ট্রে। এখানেই চমক! তালিকায় সবার ওপরে থাকা রোল নম্বরটি যে সাজ্জাদের!
সাজ্জাদ বলেন, ‘যদিও পররাষ্ট্র আমার প্রথম পছন্দ ছিল। কিন্তু বিশ্বাস হচ্ছিল না যে এটা পাব। সে কারণে প্রথমেই পররাষ্ট্র ক্যাডারের দিকে যাচ্ছিলাম না। হঠাৎ শারমিন (স্ত্রী) আমাকে বলে, “তোমার রোল নম্বরটা যেন কত?” আমি রোল নম্বর বললাম। শারমিন কাঁদতে কাঁদতে বলল, “তুমি ফার্স্ট হয়ে গেছ! পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছ।” আমি নিজেও কেঁদে ফেলেছি। পুরোটা সময় হতবিহ্বল ছিলাম।’