যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির একটা লক্ষ্য হচ্ছে, চীনের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক বিকাশের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া। কেননা, চীন এখন অর্থনীতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এবং এ কারণেই প্রধান শত্রুও। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির আরেকটা লক্ষ্য হলো, চীনে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে যাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো মুনাফা করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা।
চীন নীতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ডিকাপলিং (পুরোপুরি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা) অবস্থান থেকে সরে এসে অপেক্ষাকৃত মৃদু ডিরিস্কিং (শুধু ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিচ্ছিন্নতা) নীতি নিয়েছে। চীনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি যে বিভক্ত, এটা তারই লক্ষণ।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে নির্ভরতা, তার ওপর ভিত্তি করে চীন বিশ্বের ১ নম্বর অর্থনীতি হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব কঠিন এক বাস্তবতা। একইভাবে কয়েক দশক ধরে চীনের যে চমকজাগানিয়া প্রবৃদ্ধি, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার, ডলার ও সুদহারের সঙ্গে দেশটির অর্থনীতি নিবিড়ভাবে জড়িয়ে পড়েছে।