পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাজের ফিরিস্তি দেখলে অনেকের চোখ জুড়িয়ে যেতে পারে। নদীখনন, খাল সংস্কার, বাঁধ নির্মাণ—কত কিছুই না করছে তারা। কিন্তু সেগুলো কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এখনো পাকিস্তান আমলে তৈরি জরাজীর্ণ বাঁধ আগলে থাকতে হয় উপকূলের অনেক মানুষকে। একইভাবে অনেক স্লুইসগেট বা জলকপাটের বয়সও প্রায় ৬০ বছর হয়ে গেছে। এত বছরেও মেরামত না হতে হতে সেগুলো এখন কৃষকের জন্য গলার ফাঁস। খুলনার সুন্দরবন-সংলগ্ন কয়রা উপজেলায় এমন কিছু জলকপাটের অবস্থান। এসব জলকপাট কবে সংস্কার করা হবে, তা জানেন না সেখানকার কৃষকেরা। পাউবোর কবে বোধোদয় হবে, সেই অপেক্ষাই করছেন তাঁরা।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, কয়রায় কয়েকটি নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। বাঁধের ভেতরের এলাকা ও আবাদি জমিতে বর্ষায় জমে থাকা অতিরিক্ত পানি অপসারণ ও লোনাপানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৭টি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। ষাটের দশকে নির্মাণ করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে মেরামত ও সংস্কারের অভাবে সেগুলোর পাঁচটি একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে এবং ১৫টি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কয়েকটি সচল আছে, সেগুলোকে ব্যবহার করে স্থানীয় ব্যক্তিরা মাছ চাষ করছেন। এমনকি কোনো কোনো জলকপাটের খালে অনেকগুলো বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কী করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ থাকে?