সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুতুলের সংসার’ ও ‘কঞ্জুস ২’ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। আপনার চোখে পড়েছে?
ঈদের জন্য পাঁচটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম। সঙ্গে আগের করা আরও তিনটি নাটক প্রচারিত হয়েছে। সব কটি নাটকেরই দর্শক সাড়া ভালো। ‘কঞ্জুস ২’ ও ‘পুতুলের সংসার’ থেকে বেশি সাড়া পেয়েছি। ‘কঞ্জুস ২’ ভালো যাবে, আগেই জানতাম। এটি সিকুয়েল। প্রথম পর্বটি হিট ছিল। কিন্তু ‘পুতুলের সংসার’ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম, দর্শক কীভাবে নেবেন। কারণ, এটি আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল।
কেন এটি চ্যালেঞ্জিং ছিল?
এখানে আমাকে দুটি চরিত্রে তিন রূপে দেখা গেছে। পুতুল নামের মেয়েটিকে ছোটবেলায় যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানেই একসময় বৃদ্ধ হয় পুতুল। আবার ওই বৃদ্ধার মেয়েরও একটি চরিত্র আছে, সেটিও আমি করেছি। এক গল্পে এতগুলো চরিত্র কম চ্যালেঞ্জিং নয়। প্রায় এক বছর সময় নিয়ে কাজটির প্রস্তুতি ছিল। তা ছাড়া ওয়েবে এ ধরনের গল্প বড় বাজেটে সময় নিয়ে করা হয়। নাটকে কম বাজেটে, কম সময়ে এ ধরনের চরিত্র উপযুক্তভাবে তুলে আনা কঠিন। আমি মনে করি, জয়া আপার পর এ ধরনের চরিত্রে আমিই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। এ ধরনের চরিত্র করার আগে বিশ্বাস লাগে। এমন একটি চরিত্রের চারপাশের পরিবেশে অভ্যস্ত ছিলাম না। তাই কাজটি করতে গিয়ে আমি খুব নার্ভাস, কনফিউজড ছিলাম। আমার অভিনয়জীবনে কোনো চরিত্র করতে এত নার্ভাস লাগেনি।