রোদে ত্বক পোড়াবেন না কি ‘ইউভি’ রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখবেন? এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। বিশ্বের এক প্রান্তের মানুষ যখন বিদেশি সংস্থার সানস্ক্রিন কিনে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা নষ্ট করেন, তখন অন্য প্রান্তের মানুষেরা প্রায় অর্ধনগ্ন হয়ে, পারলে রোজই ‘রৌদ্রস্নান’ করতে ছোটেন। সে দেশের সমুদ্রতট বা পুলের ধারে ‘সানবাথ’ নেওয়ার দৃশ্য দেখা যায় হামেশাই। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে হুজুগের শেষ নেই। ধবধবে সাদা চামড়ার বদলে তাঁদের পছন্দ ‘সানকিস্ড’ ত্বক। তবে সমাজমাধ্যম খুললেই ইদানীং ‘বিয়ার ট্যানিং’ নামক একটি বিষয় ভীষণ ভাবে নজরে পড়ছে। বিদেশে যা এখন রীতিমতো ‘ট্রেন্ড’ হয়ে গিয়েছে। যদিও এই ‘ট্রেন্ড’ নিয়ে চিকিৎসকেরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কারণ, অতিরিক্ত মাত্রায় ত্বক পুড়তে থাকলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিয়ার ট্যানিং কী?
যে হেতু রোদে পোড়া ত্বকের লালচে রং যেহেতু তাঁদের পছন্দের। তাই প্রতিনিয়ত তাঁরা বিভিন্ন ফিকির খুঁজতে থাকে, যাতে তাড়াতাড়ি, সহজে চামড়া ‘ট্যান’ হয়ে যায়। তেমনই একটি ফিকির হল ‘বিয়ার ট্যানিং’। তাঁদের ধারণা হয়েছে, রৌদ্রস্নানে যাওয়ার আগে দেহের অনাবৃত জায়গাগুলিতে বিয়ার মেখে নিলে ত্বকে তাড়াতাড়ি লালচে ছোপ পড়বে। অর্থাৎ, মেলানিন-এর পরিমাণ বেড়ে যাবে। যা সাধারণ রোদে পোড়া ত্বকের রঙের চেয়েও গাঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
বিয়ার ত্বকে মেখে রোদে পুড়লে কী কী সমস্যা হতে পারে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, রোদে ত্বক পুড়িয়ে ফেলার প্রচলিত বা অপ্রচলিত, যে কোনও পন্থাই খারাপ। কারণ, তার সঙ্গে ত্বকের ক্যানসারের যোগ রয়েছে। তাই রোদে যদি বসতেই হয়, সে ক্ষেত্রে সব সময়ের সঙ্গী হওয়া উচিত সানস্ক্রিন। বদলে যে কোনও ধরনের অ্যালকোহল আদতে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। স্পিরিটজাতীয় যে কোনও তরল ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চার বা আর্দ্রতা নষ্ট করতে পারে। পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। এমনকি, ত্বকের তা থেকে ফাইটোফোটোডার্মাটাইটিস-এর মতো রোগও হতে পারে।