‘প্রাথমিক পর্যায়ে মিথ্যা পরিচয়ে লেখাপড়া করেছি। আমাদের জন্মনিবন্ধন করা হয়নি। এখন সব পেয়েছি। বাড়ির পাশেই কলেজে লেখাপড়া করতে পারছি। স্মার্টকার্ড দিয়ে মোবাইলের সিম তুলতে পারছি। এসব আমাদের জন্য আসলেই স্বপ্ন ছিল।’
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন কলেজছাত্র আলমগীর হোসেন। শুধু আলমগীর হোসেন নন, এধরনের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলের বাসিন্দারা।
সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে বদলে গেছে ছিটমহলের বাসিন্দারের জীবনযাত্রা। ভারতের সঙ্গে সরকারের স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে ৬৮ বছরের বঞ্চনা শেষে বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হয়েছেন এসব ছিটমহলের মানুষ। এরপর তাদের জীবনমান উন্নয়নে বিলুপ্ত ছিটমহল এলাকায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, পাকা সড়ক, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির, মাদরাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দেওয়া হয় আধাপাকা ঘর।
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে দেশের বিলুপ্ত ছিটমহলে উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। দেশের ভূখণ্ডে যোগ হয় ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর। ৬৮ বছরের অবরুদ্ধ জীবন থেকে মুক্ত হন এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।