জুন-জুলাই এ দুই মাসই ছিল নির্বাচনী তৎপরতায় ভরা। বাসাইল পৌর নির্বাচন হয়েছে ২১ জুন। সেখানে গামছার প্রার্থী রাহাত হাসান টিপু জয়ী হয়েছে। টিপুর জয়ের চেয়েও বড় কথা হলো মানুষ ভোট দিতে পেরে দারুণ খুশি। সত্যিই চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। একেবারে উৎসবের মতো ভোটারের আনাগোনা ও পছন্দনীয় প্রার্থীকে ভোটার ভোট দিয়েছে। ১৭ জুলাই ছিল সখিপুরের চারটি এবং কালিহাতীর দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। দুই জায়গাতেই মাননীয় সংসদ সদস্যরা খুবই বাড়াবাড়ি করেছেন। কিন্তু প্রশাসনিক সাহায্য পাননি। আগে আমরা নির্বাচন করতাম, দারোগা-পুলিশ নিয়ে ভাবতে হতো না। এখন প্রার্থীরা কেন্দ্রের খরচ, পোলিং এজেন্টদের খাওয়াদাওয়ার চিন্তার চেয়ে পুলিশ-প্রিসাইডিং অফিসার-নির্বাচন অফিসারদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ কয়েকটি নির্বাচনের আগে খরচাপাতি দিয়ে সরকারি দলের লোকজন যথেষ্ট লাভবান হয়েছে। কিন্তু ১৭ জুলাই এবং ২১ জুনের ভোটে তেমন কিছু হয়নি। তবে দু-তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে কিছু অভিযোগ থাকলেও সবাইকে তাড়িয়ে দিয়ে সিল মারার মতো অবস্থা কোনো কেন্দ্রেই হয়নি। যার কৃতিত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই দাবি করতে পারেন। তবে জাতীয় নির্বাচন আর স্থানীয় নির্বাচন এক কথা নয়। শত শত সুন্দর স্থানীয় নির্বাচন হলেও একটা জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা চলে না।