সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কতদিন এই ভাঙন অব্যাহত থাকবে, তা কারও জানা নেই। তবে ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের কষ্টের শেষ নেই। ইতোমধ্যে অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। আরও অনেকে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন। এ অবস্থায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও চলতি বর্ষা মৌসুমে শুরু হয় যমুনায় ভাঙন। জেলার শাহজাদপুর, এনায়েতপুর, চৌহালী কাজিপুর উপজেলায় চলছে ভাঙনের তীব্রতা। নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, ফসলি জমি, হাটবাজার ও বিভিন্ন স্থাপনা। এরই মধ্যে অনেকে ভিটামাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। কেউ কেউ ভিটামাটি হারিয়ে নদীর পাড়ে পলিথিন টানিয়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে ভিটামাটি হারিয়ে চলে গেছেন অন্যত্র।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দেড় মাসে ভাঙনের কবলে পড়ে শাহজাদপুরের জামালপুর, এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম, আড়কান্দিসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। ভিটামাটি ছাড়া হয়েছে হাজারো মানুষ। চৌহালী ও বেলকুচিতে যমুনার উভয় তীরে চলছে ভাঙন।