বর্ষাকালে দেশের পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য এখন সুনামগঞ্জের হাওর। বিশেষ করে মেঘালয়ের পাদদেশে তাহিরপুর, মধ্যনগর উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওর রামসার সাইট হিসেবে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
দুই দশক আগে টাঙ্গুয়ার হাওর ঘিরে পর্যটন শুরু হলেও তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে গত কয়েক বছর ধরে। বিস্তৃত জলরাশির এই হাওরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য জলে ভাসানো হয়েছে শতাধিক দৃষ্টিনন্দন হাউসবোট।
স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বাইরের জেলার অনেকেই এখানে উদ্যোক্তা হয়েছেন। আধুনিক সুবিধা সম্বলিত হাউসবোট বানিয়ে হাওরের ভাসিয়েছেন তারা। বন্ধু কিংবা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আকর্ষণীয় এই বাহনটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
জীববৈচিত্রের আধার এই হাওরে রয়েছে হিজল-করচের বড় বাগান। পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। যেখান থেকে হাওরের সৌন্দর্য দেখা যায় ‘পাখির চোখে’।
শীত ও বর্ষায় হাওরের সৌন্দর্য বদলে যায়। এই সৌন্দর্য দেখতে, নীল জলে শরীর ভেজাতে দীর্ঘদিন ধরেই হাওরে আসছেন পর্যটকরা। একটা বড় সময় পর্যন্ত দেশি পদ্ধতিতে তৈরি নৌকাতেই ঘুরে বেড়াতেন তারা। তবে গত তিন-চার বছর ধরে হাউসবোটগুলো ভ্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
কাঠের তৈরি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হাউসবোটগুলোয় সাধারত চার থেকে ছয়টি কক্ষ থাকে। বিশেষভাবে নকশা করা এসব জলযানে থাকে বিদ্যুতের ব্যবস্থা। অন্দরসজ্জায় ব্যবহার করা হয় দৃষ্টিনন্দন সব সামগ্রী, থাকে উন্নত টয়লেট।