পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সংঘর্ষের সময় আমার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছি। পরে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়েও নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অফিসে দিয়ে গেল।’
এর আগে গয়েশ্বরকে নয়াপল্টনে তাঁর কার্যালয়ে দিয়ে যায় পুলিশ। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে তাঁর নয়াপল্টনের অফিসে পৌঁছে দেওয়া হয়। যদিও ডিবি পুলিশ বলেছে, তাঁকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর সব প্রবেশমুখে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকাল থেকেই অবস্থান নেন। এ সময় রাজধানীর নয়াবাজারের ধোলাইখাল মোড়ে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বেলা ১১টায় নয়াবাজারে বিএনপি অফিসের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা গয়েশ্বরসহ অন্তত সাতজন নেতা-কর্মী আহত হন।
গয়েশ্বর রায় আহত হলে তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। গয়েশ্বরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে লালবাগ বিভাগের ডিসি জাফর হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে সমাবেশ করার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। মহানগরের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমরা সকাল থেকে তৎপর আছি। তারা (বিএনপি) বিভিন্ন গলিতে এসে জড়ো হয়ে তৎপরতা শুরু করে।’