রেস্তোরাঁয় এই আচরণগুলো একেবারেই করবেন না

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১৫:০৩

রেস্তোরাঁয় গিয়ে প্রায়ই না বুঝে অনেকে এমন সব আচরণ করেন, যা করা একেবারেই অনুচিত। অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মতো রেস্তোরাঁয় খেতে আসা অতিথিদের জন্যও রয়েছে কিছু অলিখিত নিয়ম। অবশ্য নিয়ম না বলে শিষ্টাচার বলাই ঠিক হবে। বুড়িগঙ্গা রিভারভিউ রেস্তোরাঁর হেড অব অপারেশন মিজানুর রহমান বলছিলেন, ‘অতিথিরা শিষ্টাচার রক্ষা না করতে পারলে আমাদের আসলে কিছুই বলার থাকে না।’ আসুন জেনে নেওয়া যাক, অতিথি হিসেবে কোন আচরণগুলো রেস্তোরাঁয় করা একেবারেই ঠিক নয়।


১. বখশিশ দিতে অনীহা
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ইউরোপের অনেক দেশের মানুষ বকশিশ নিয়ে বেশ বিরক্ত। কেননা রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পর তাঁদের বাধ্যতামূলক বকশিশ গুনতে হয় খাবারের দামের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। সেখানকার বেশির ভাগ সাধারণ মানুষই মনে করেন, এটি অতিরিক্ত। এদিকে আবার এশিয়ার দেশ চীন, জাপান, কোরিয়ায় কোনো কাজের বিনিময়ে আলাদা করে বকশিশ দেওয়াকে অপমানজনক হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশে অবশ্য বকশিশ নিয়ে এমন কোনো কঠিন বাধ্যবাধকতা নেই। আজকাল অবশ্য রসিদে আলাদাভাবে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ যোগ করে অনেক রেস্তোরাঁ। তবে যদি না করে, সে ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি আপনাকে খাবার পরিবেশন করছেন, তাঁকে খুব বেশি না হলেও কিছু বকশিশ দিতে পারেন।


২. জায়গা না থাকলেও ভিড় করা
মধ্যাহ্নভোজের সময় রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে দেখলেন বসার জায়গা নেই। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। আপনার মতো হয়তো অনেকেই অপেক্ষারত। এ সময় যাঁরা টেবিলে বসে খাচ্ছেন, তাঁদের টেবিলের কাছে ঘোরাঘুরি না করাই উত্তম। টেবিল থেকে দূরে কোনো জায়গা থাকলে সেখানে অপেক্ষা করুন। নয়তো একটা কাজ করতে পারেন, কাউন্টারে নিজের ফোন নম্বর দিয়ে টেবিল খালি হলে জানাতে বলে বাইরে কিছুক্ষণ হেঁটে আসতে পারেন। এতে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিরক্ত হতে হবে না, সঙ্গে ক্ষুধাটাও বেশ চাঙা হয়ে উঠবে।


৩. খাওয়া শেষ করেও বসে থাকা
বিশেষ করে দুপুর ও রাতের খাওয়ার সময় রেস্তোরাঁগুলোর ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। এ সময় খাওয়া শেষ হলে শুধু শুধু বসে না থেকে অপেক্ষারত অন্য অতিথির জন্য দ্রুত টেবিল ছেড়ে দেওয়া উচিত।


৪. রেস্তোরাঁর রুমালে হাঁচি-কাশি দেওয়া
রেস্তোরাঁর টেবিলে আপনার সামনে যে কাপড়ের রুমাল দেওয়া হয়েছে, সেটি শুধু আপনার পোশাক রক্ষার্থে ব্যবহারের জন্য। আগেও এটি অন্য অতিথি ব্যবহার করেছেন এবং ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা হবে। তাই কোনোভাবেই রেস্তোরাঁর দেওয়া রুমালে হাঁচি-কাশি দেওয়া যাবে না।


৫. অসুস্থ অবস্থায় রেস্তোরাঁয় যাওয়া
ঠান্ডা, জ্বর, হাঁচি, কাশি, সর্দির মতো হালকা রোগ থাকলেও রেস্তোরাঁয় না যাওয়াই উত্তম। আপনার মাধ্যমে কে কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবেন, কে বলতে পারে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us