তালেবানের নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ হয়ে গেল আফগানিস্তানের সব বিউটি পারলার। এর ফলে হাজার হাজার নারী জীবিকা হারাচ্ছেন। বাইরে যাওয়া নিয়ে বিধিনিষেধের বেড়াজালের মধ্যে একটু স্বস্তির জায়গা ছিল এসব বিউটি পারলার। রূপচর্চার সুযোগে এসব জায়গায় ছিল আফগান নারীদের দুঃখ-কষ্ট ভোলার জায়গা। পারলার বন্ধের ফলে তাদের মধ্যে যেন শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল জারমিনার। স্বামী ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না তাঁর। তা-ও বছরে দুই-তিনবার প্রতিবেশীর সঙ্গে বিউটি সেলুনে যেতে রাজি করিয়েছিলেন তিনি। সেখানকার এক কর্মীর সঙ্গে বেশ সখ্যও গড়ে ওঠে তাঁর। বিউটিশিয়ানের সঙ্গে সামান্য আলাপেই যা একটু মুক্তির স্বাদ পেতেন তিনি।
কাবুলের এক পারলারে নিজের চুলে রং করাতে করাতে জারমিনা বিবিসিকে বলেন, ‘আগে মেয়েরা তাদের স্বামীকে প্রভাবিত করার নানা উপায় নিয়ে আলোচনা করত। কেউ কেউ তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করত। কিন্তু এখন তারা কেবল বেকারত্ব, বৈষম্য আর আর্থিক দুর্দশা নিয়েই কথা বলে।’