বাগেরহাট সদরের ভৈরব নদের তীরে মাটির বদলে বালু দিয়ে নির্মিত বাঁধে ছয় মাসের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বালু দেওয়ার অভিযোগ করে এর স্থায়িত্ব নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ সেতুর নিচে বাঁধের একটি অংশ ধসে যায়। এতে গোপালকাঠি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
নাজিরপুর উপ-প্রকল্পের অধীনে ছয় মাস আগে সংস্কার হওয়া বাঁধে ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বাঁধের নিচ দিয়ে অবৈধভাবে তৈরি কালভার্টের জন্যই ওই ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত অর্থবছরে ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁধটি সংস্কারের কাজ করে পাউবো। তখন স্থানীয় একটি ইটভাটা অবৈধ কালভার্টটি অপসারণ করেনি। বর্ষা শুরুর পর এখান থেকে পানির চাপে বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে প্রথমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করে পাউবো। পাশাপাশি ভাটা মালিককে কালভার্ট অপসারণে চিঠি দেওয়া হয় বলে জানায় তারা।