‘দালাল না ধরে নিজে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর ভুল ধরে কর্মকর্তারা সেটি গ্রহণ করেন না। আবার সংশোধন করে জমা দিলেও আরেকটি ভুল ধরা হয়। এভাবে ভুল শুধরে আবেদন জমা দিতে দিনের পর দিন ছোটাছুটি করতে হয়। তবে দালাল ধরে আবেদন করলে আবেদনপত্রে বিশেষ চিহ্ন দেওয়া থাকে। তখন ভুল ধরা হয় না। এতে একদিনেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি তোলার সুযোগসহ দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়া যায়।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ে গিয়ে এমন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন নগরীর মোহরা রাস্তারমাথা এলাকার বাসিন্দা মো. রুবেল হোসেন। শুধু রুবেল নন, দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করতে গেলে এমন বিড়ম্বনায় পড়ার কথা জানিয়েছেন অন্তত ১০ জন ভুক্তভোগী।
তারা বলেছেন, বিভাগীয় এই পাসপোর্ট কার্যালয়ে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন আবেদনকারীরা। প্রতিদিন গড়ে হাজারো ব্যক্তি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ দালালের শরণাপন্ন হন। এতে সরকারি ফির অতিরিক্ত খরচ হয় দুই হাজার টাকা। কোনও জটিলতা থাকলে পাসপোর্ট পেতে আরও বেশি টাকা দিতে হয়। দালাল না ধরে নিজে পাসপোর্টের আবেদন করলে জমা দেওয়া এবং ডেলিভারি বুথে হয়রানির শিকার হতে হয়। হয়রানির অভিযোগ জানাতে কর্মকর্তাদেরও সাক্ষাৎও পান না তারা