কেউ কেউ আসেন যেন সময়ের সন্তান হয়ে। পরিপাশ তাদের তৈরি করার আগে সময়ই যেন পরিপাশের মাপ বুঝে তাদের নিয়ে আসে। তারা কোথাও আলোড়ন তুলতে না চাইলে কী হবে, প্রকৃতি স্বয়ং তাদের অপেক্ষায় থাকে। তারা আসবেন, ঢেউ উঠবে, বাঁধ পড়বে ভেঙে।
সৈয়দ হাসান ইমাম শৈশবে মা-খালাদের শাড়ি টাঙিয়ে মঞ্চ বানিয়ে অভিনয়ে নেমে পড়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকেই দেখব আমরা একের পর গণমুখী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে পুরোধাদের মাঝে; তৎকালীন পাকিস্তানে চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের একজন হিসেবে (১৯৬৫), স্বাধিকারের লড়াইয়ে দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও যোদ্ধা শিল্পীদের সারিতে (১৯৬৯-৭১)। অতঃপর মানবতা ও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং মৃত্যু পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আন্দোলনে অবিরত সৈনিক হিসেবে। শেষতক তাঁকে দেখব একজন তাত্ত্বিক হিসেবে, যিনি ললিত ভাষায় সেক্যুলার সংস্কৃতির যৌক্তিকতা বাতলে দিচ্ছেন এই ভাষায়– ‘মানুষের কল্যাণের জন্যে যে সংস্কৃতি তা প্রগতিশীল সংস্কৃতি।’ (বিবিসি, ২৬ এপ্রিল ২০১৭)