দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একদল প্রত্নতাত্ত্বিক এ অঞ্চলে 'কারি' রান্নায় ব্যবহৃত মশলা প্রক্রিয়াকরণের সবচেয়ে পুরনো প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন। পশ্চিমারা প্রায়ই যেটিকে 'কারি' বলে থাকে, বাংলায় তা 'তরকারি' হিসেবে পরিচিত। কমপক্ষে ১৮০০ বছর পুরনো মশলার অবশিষ্টাংশ পরীক্ষা করে প্রাচীনকালের বাণিজ্য সম্পর্কেও নতুন তথ্য পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ সিয়াও-চুন-হাং জনপ্রিয় সায়েন্স ম্যাগাজিন সায়েন্টিফিক আমেরিকান'কে বলেন, "এই গবেষণার আগে আমাদের কাছে প্রাচীনকালের মশলা বাণিজ্য সম্পর্কে শুধু ভারত, চীন এবং রোমের প্রাচীন নথিপত্র থেকে পাওয়া কিছু সূত্র ছিল। কিন্তু এই গবেষণা থেকেই প্রথম নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, মশলাগুলো বাণিজ্যিক পণ্য ছিল এবং প্রায় ২০০০ বছর আগে সমুদ্রপথে বিশ্ব বাণিজ্যের নেটওয়ার্কের মধ্যেই ছিল।"
ইউরোপীয় উপনিবেশবাদীদের দ্বারা ইংরেজি 'কারি' শব্দটির উৎপত্তি; তারা দক্ষিণ এশিয়ার সস-মশলার মতো উপকরণে তৈরি যেকোনো পদকে 'কারি' বলতো। 'কারি' শব্দটি তামিল শব্দ 'kari' থেকে এসেছে বলেও মনে করা হয়- যার অর্থ সস।