নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে সাইবার অপরাধ। বেড়েই চলেছে সাইবার অপরাধের সংখ্যা।
প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সাইবার-দুর্বৃত্তদের হয়রানি রীতিমতো ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে। তবে হতাশার খবর হলো, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের এর মূল প্রতিষ্ঠান মেটার সঙ্গে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তিই (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ট্রিটি-এমলেট) করতে পারেনি। এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি ভুয়া নিবন্ধিত মোবাইল সিম। এখনো ডাটাবেজের আওতার বাইরে রয়ে যাচ্ছে অনেক নতুন-পুরনো মোবাইল হ্যান্ডসেট।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে সাইবার অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে সে অনুযায়ী যথাযথ উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে আমাদের কর্তৃপক্ষ। দিন দিন সাইবার অপরাধীদের বলয় আরও বিস্তৃত হলেও তা ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। অন্যদিকে ‘এমলেট’ করতে না পারার কারণে মেটার কাছ থেকে অনেক ধরনের নিশ্চিত সেবা নেওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। র্যাব বলছে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসসহ সাইবার অপরাধের রিপোর্ট করার পরও মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কনটেন্ট সরায় মেটা। তাও আবার সময়সাপেক্ষ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২২ সালের জুলাইয়ে মেটার ঘোষণামতে, সারা বিশ্বে ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ২৯৩ কোটি। এক বছর আগের তুলনায় এ সংখ্যা ১ শতাংশ বেড়েছে। দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯৭ কোটি। মেটার বরাত দিয়ে বাংলাদেশের একটি সংস্থা জানিয়েছে, বাংলাদেশে ১১ কোটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রয়েছে, যা বিশ্বের প্রথম সারির কয়েকটি দেশের সম্মিলিত সংখ্যার চেয়েও বেশি। বেশি অ্যাকাউন্ট হওয়ার কারণে অপরাধের সংখ্যা অন্য অনেক দেশের চেয়ে ঢের বেশি। তাই এ দেশে মেটার লোকাল অফিস স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত মেটাকে প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বোঝাতে সক্ষম হয়নি। এ বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা খুব একটা লক্ষণীয় নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।