আপনার শিশু কি খেতে চায় না? খাওয়ার চেয়ে টিভি বা ফোনে বেশি আসক্ত? উত্তর ইতিবাচক হলেও মন খারাপ করার কিছু নেই, এই সমস্যা শুধু আপনার একার নয়। প্রায় প্রতিটি ঘরেই শিশুর খেতে না চাওয়ার সমস্যা আছে। কমবেশি সব মায়েরই এক অভিযোগ—বাচ্চা কিচ্ছু খায় না।
খাবারের প্রতি শিশুর এই বৈরাগ্য ভাব কাটাতে প্রথম থেকেই সচেতন হতে হবে। তা না হলে শিশুর স্বাদবিষয়ক অনুভূতিগুলো যখন ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে, তখন সে খাবারের ব্যাপারে খুঁতখুঁতে হবে। তবে ভালো খবর হলো, কিছু উপায় আছে, যেগুলো অবলম্বন করে আপনার শিশুসন্তানকে খাওয়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারবেন।
বাচ্চার ক্ষুধাকে বুঝতে হবে: বাচ্চাকে দিনে তিন বেলাই খাওয়াতে হবে—এমন কোনো বাঁধাধরা নিয়ম কিন্তু নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি খেতে না চায়, তাহলে তাকে সে সময় খেতে বাধ্য না করাই ভালো। যখন খিদে লাগবে, তখন খেতে দিন। আবার এক বেলা যেটুকু খাওয়াতে চান, সেটা একবারে খেতে না চাইলে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে খাওয়ান। মানে, আগে যেখানে তিন বেলা খাওয়াতেন, এখন সেই খাবারটুকুই ছয়বারে পরিবেশন করুন।
রুটিনমতো চলা: শিশুর খাবারের সময় একবার ঠিক হয়ে গেলে নিয়মিত সেই সময়ে তার খিদে লাগবে। মিলগুলো যেন প্রতিদিন একই সময়ে পরিবেশন করা হয়, তা নিশ্চিত করুন। লক্ষ্য থাকবে, প্রতিদিন তিন বেলার খাবার ছাড়াও দুইবার হালকা নাশতা বা স্ন্যাকসজাতীয় কিছু খাওয়ানো। শিশুকে কী ধরনের স্ন্যাকস দিচ্ছেন, অবশ্যই সেটা খেয়াল রাখতে হবে। মুখরোচক কিন্তু অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস মূল খাবারের সময় খিদে কমিয়ে দিতে পারে। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে বাচ্চাকে দিতে পারেন ফল বা বাদাম।
খাবার পরিবেশন হোক আকর্ষণীয়: সুন্দরভাবে পরিবেশিত খাবার কিন্তু অনেক শিশুকে খাবারের প্রতি আগ্রহী করে। শিশুর খাবার পরিবেশনে তাই কিছু সৃজনশীল উপায় ভেবে বের করুন। এই যেমন শিশু এমনিতে হয়তো পাউরুটি খেতে চায় না, তবে সেটা যখন প্লেটের ওপর নৌকা বা বাঘের মতো দেখাবে, সে খেতে আগ্রহী হবে। গোটা ফলও খেতে না চাইলে সেটা দিয়ে ফুল, লতাপাতা বানিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন। তাই ফল বা সবজি কাটার জন্য কুকি কাটার ব্যবহার করতে পারেন। হামাস বা জেলিতে ডিপিং করেও নানা রকম খাবারের চেহারা বদলে দিতে পারেন।