বর্ষা মানেই স্মৃতির উৎসব

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৯:০২

বাংলায় সবচেয়ে নন্দিত-বন্দিত ঋতু কোনটা? অবশ্যই বর্ষা। এটা বলার জন্য গালে হাত দিয়ে বসতে হয় না। বসন্ত নয়, কাব্যপ্রেমী বাঙালির প্রিয় ঋতু বর্ষা। কেন এ-রকম হলো! কেন বর্ষা নিয়েই হাজার হাজার গান, কবিতা, ছবি, চলচ্চিত্রের দৃশ্য! এবং এই চলতি ধারা বা ট্রেন্ড আজকের নয়, হাজার বছর আগে থেকেই বাঙালির জীবনে সবচেয়ে ট্রেন্ডি ঋতু বর্ষা।


এর একটা কারণ বোধ হয়, বাংলাদেশ ছিল জলমগ্ন একটা দেশ। বর্ষাকালে ঘরে বসে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না আমাদের পূর্বপুরুষদের। কাজেই তাঁরা গান রচনা করতেন, গাইতেন, শিল্পের চর্চা করতেন বর্ষাতেই। বর্ষা এমন একটা ঋতু, যা পঞ্চইন্দ্রিয়কে কেবল নাড়া দেয় না, জীবনকে নাড়িয়ে দেয়। বসন্তকাল আমাদের দেশে আলাদা তাৎপর্য আনে না; কারণ, শীতের দেশের মতো এখানে তুষারপাত হয় না, গাছের পাতা ঝরে পড়ে সব ন্যাড়া হয়ে যায় না; ওসব দেশে বসন্ত আনে মুক্তির বার্তা, গেয়ে ওঠে জীবনের ও যৌবনের গান। আমাদের শীত অত প্রকট নয়, তুষার ঝরে না এখানে, কাজেই বসন্ত আলাদা করে বোঝাই যায় না। প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমাদের এই চোখ-পোড়ানো আলোর দেশে বর্ষার আকাশ আমাদের চোখে কী যে অপূর্ব স্নিগ্ধ প্রলেপ মাখিয়ে দেয় তা বাঙালি মাত্রেই জানে। আজকের আকাশ দেখে মনে হয়, ছায়ার রঙের কোনো পাখির পালক দিয়ে বর্ষা তাকে আগাগোড়া মুড়িয়ে দিয়েছে, তাই তার স্পর্শ আমাদের চোখের কাছে এত নরম, এত মোলায়েম।’


বাংলাদেশ সবচেয়ে সুন্দর বর্ষাকালে। গাছের পাতা ঘন সবুজ। আউশের খেত জলে ভরভর। এক রত্তি ধূলি নেই গাছের পাতায় পাতায়। অন্য ঋতুগুলোয় গাছের পাতা সব ধূসর, ধূলিমলিন।


এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাধাকৃষ্ণের কিংবদন্তি। কৃষ্ণ যমুনা নদীর তীরে কদম্বতলে বাঁশি বাজাচ্ছেন, নীল শাড়ি পরে রাধা চলেছেন অভিসারে। বর্ষা এলে তাই বাঙালির হৃদয় চঞ্চল হয়ে ওঠে। আমাদের সমন্বিত অবচেতনে কালিদাসের মেঘদূত ছায়া ফেলে। রবীন্দ্রনাথ কত যে বর্ষার গান লিখেছেন। কাজী নজরুল ইসলামও মুখর বর্ষাবন্দনায়। এমনকি হুমায়ূন আহমেদও বৃষ্টিবিলাস করেছেন সুপ্রচুর: যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়। যদিও তখন আকাশ থাকবে বৈরী, কদমগুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us