ধনী ইসরায়েলকে মার্কিন সাহায্য আর কত?

তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়ে ইসরায়েল আবারও সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। এর মধ্যেই একটি বিষয় অনুল্লেখ্য রয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি সতর্কতার সঙ্গে আলোচনা করব। ইসরায়েলের জন্য আমেরিকান সাহায্য পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার বিষয়ে ভাবার সময় কি এসে গেছে? এটা ইসরায়েলকে আঘাত করার জন্য বলা হচ্ছে না। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অন্য একটি ধনী দেশকে বার্ষিক ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বিপুল অর্থ প্রদান করা কি সত্যিই অর্থপূর্ণ?

ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে এমন কোনো পরিবর্তন হঠাৎ ঘটাতে হবে বলে আমি মনে করি না। আমেরিকান সাহায্য পুনর্বিবেচনার উদ্দেশ্য অবশ্যই ইসরায়েলের ওপর চাপ তৈরি করা নয়। যদিও আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আমাদের আরও কঠোর হওয়া উচিত। তিনি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের আশা নিভিয়ে দিচ্ছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাকের ভাষায়, ‘ইসরায়েলকে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং বর্ণবাদী সমাজে নিপতিত করতে সংকল্পবদ্ধ।’ বরং এই আলাপ তোলার উদ্দেশ্য এটা বোঝানো যে, অন্য একটি ধনী দেশকে সাহায্য করতে গিয়ে আমেরিকান মূল্যবান সম্পদের অপচয় ঘটে। এটা উভয় পক্ষের জন্য ক্ষতিকর অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক তৈরি করে।