সাধারণ ও দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহারে অনলাইনে হ্যাকিং ও প্রতারণার ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা তাই পাসওয়ার্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দিয়ে থাকেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুই–তৃতীয়াংশ মানুষ একই ধরনের পাসওয়ার্ড বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করেন, যা অনলাইনে নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। নেট ভাউচার কোডসের বিশেষজ্ঞরা ৯ রকমের পাসওয়ার্ড তৈরির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন, যেগুলো ভার্চ্যুয়াল জগতে আপনাকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
১. প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড তৈরি করা উচিত। একই পাসওয়ার্ড কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ব্যবহারে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। কারণ, একটি পাসওয়ার্ড হ্যাক করলে সব অ্যাকাউন্টের দখল নিতে পারবে হ্যাকাররা।
২. অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের প্রিয় প্রাণী বা বস্তুর ছবি ও নাম দিয়ে পোস্ট করে থাকি। এ ধরনের ব্যক্তিগত কোনো বিষয় যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগেই পোস্ট করা হয়েছে, তা দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি বিপজ্জনক। হ্যাকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনুসরণ করে খুব সহজে অ্যাকাউন্টের দখল নিতে পারবে।
৩. Password বা Password1 এই ধরনের সাধারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহার নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে।
৪. নামের শেষে 1 বা এ ধরনের সংখ্যা ব্যবহারের কারণে পাসওয়ার্ড দুর্বল হয়ে যায়।
৫. নিজের নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করা বিপজ্জনক। এমনকি নামের শেষে বিশেষ কোনো অক্ষর (ক্যারেক্টার) থাকলেও সেটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
৬. 1234 বা 1, 2, 3, 4 এ ধরনের একই রকম প্যাটার্ন পাসওয়ার্ডে ব্যবহার করা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
৭. বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার করলে পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হয়। কিন্তু পাসওয়ার্ডে ব্যবহৃত সব অক্ষরই যদি বড় হাতের হয়, তবে তা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
৮. সাধারণত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মায়ের নামের প্রয়োজন হয়। তবে মায়ের নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি বিপজ্জনক হতে পারে।
৯. বাড়ির রাস্তা বা পরিচিত কোনো কিছুর নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করলেও তা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।