চট্টগ্রামের সেন্ট প্লাসিডস স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সোয়াত সালমানের সারা শরীর ফুলে গেছে। চোখ লাল। আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিন দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছে সে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এর আগে হাসপাতালটির সাধারণ শয্যায় চার দিন চিকিৎসা নেয় সোয়াত। তার রক্তের প্লাটিলেট ২৫ হাজারে নেমে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাকে প্লাটিলেট দেওয়া হয়। এখন আগের চেয়ে কিছুটা ভালোর দিকে।
সালমানের মতো ১০ শিশু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটির আইসিইউ, সিসিইউ ও এইচডিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার নিবিড় পরিচর্যায় ছিল আটজন। শুধু সংকটাপন্ন নয়, বেড়েছে সাধারণ ডেঙ্গু রোগীও। গতকাল শনিবার ৬৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে মোট ডেঙ্গু রোগী ছিল ৯৭ জন, যা গত বছরের তুলনায় এক দিনে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৫১টি।
হাসপাতালটির পরিচালক মো. নুরুল হক বলেন, গত বছর এক দিনে সর্বোচ্চ ৮৭ জন ডেঙ্গু রোগী এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (গতকাল) তার চেয়ে ১০ জন বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১১ শিশু আইসিইউ ব্যবস্থাপনার মধ্যে আছে। বিপরীতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক আইসিইউতে আছেন। শিশুদের কয়েকজনের অবস্থা খারাপ।