গরমকালে হাতকাটা পোশাক পরবেন। সমুদ্রের ধারে ঘুরতে গেলে ছোট ঝুলের পোশাক পরতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু ওয়াক্স বা ‘হেয়ার রিমুভ’ করতে না পারলে তেমন পোশাক পরা অনেকের কাছেই বিড়ম্বনার। দেহে এই রোমের আধিক্যকে চিকিৎসা পরিভাষায় ‘হিরসুটিজ়ম’ বলা হয়। তবে সাধারণ ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে যেমন দেহের রোম তোলা যায়, তেমন হরমোনের ভারসাম্যও কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
১) হলুদ
কাঁচা দুধের সঙ্গে গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। সারা গায়ে এই মিশ্রণ মেখে রেখে দিন যত ক্ষণ না পুরো শুকিয়ে যায়। এ বার শুকনো হাত দিয়ে সারা গা ঘষতে থাকুন। সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই মিশ্রণ মাখলে রোমের ঘনত্ব কমে আসবে। তবে পোশাকে হলুদের দাগ লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
২) মেথি
মেয়েদের শরীরে পুরুষ হরমোনে মাত্রা বেশি হলে দেহে অবাঞ্ছিত রোমের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে মেথি ভেজানো জল বিশেষ ভাবে উপকারী। রাতের বেলা একগ্লাস জলে ১ টেবিল চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে উঠে খেয়ে নিন। কিছু দিন নিয়মিত এই পানীয় খেলে সমস্যার সমাধান হবে।
৩) গ্রিন টি
নিয়মিত ২ থেকে ৩ কাপ গ্রিন টি খেলেও হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। যাপ ফলে ‘হিরসুটিজ়ম’ এর সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) অ্যালো ভেরা
অ্যালো ভেরার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ ত্বকে নানাবিধ উপকার করে। অনেকে বলেন, পাতা থেকে টাটকা নির্যাস বার করে দেহে মাখলে অতিরিক্ত রোমের সমস্যা নির্মূল হয়। অ্যালো ভেরার শাঁসের সঙ্গে সামান্য চালের গুঁড়ো মিশিয়ে গায়ে মিনিট কুড়ি মেখে রাখতে পারেন। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই হবে। তবে এই মিশ্রণ নিয়মিত মাখতে হবে।
৫) লেবুর রস এবং মধু
একটি বাটিতে লেবুর রস এবং মধু সমান পরিমাণে মিশিয়ে নিন। দেহের যে যে অংশে রোমের আধিক্য রয়েছে, সেখানে মেখে রেখে দিন। হালকা হাতে ঘষতে থাকুন। মিনিট ২০ পর স্নান করে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে রোমের ঘনত্ব কমতে বাধ্য।