মন্দার পর ২০১৬ সালে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চালু হয় মোবাইল অ্যাপস। কিন্তু চালুর সাত বছরেও জনপ্রিয় হয়নি লেনদেনের এ মাধ্যম। বরং ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিবন্ধন বাতিল হয়েছে ৩১ হাজার ব্যবহারকারীর। এ অবস্থার মধ্যেও ব্যবহারকারীদের ওপর নতুন করে মাসিক ১২৫ টাকা চার্জ নির্ধারণ করেছে ডিএসই।
ডিএসইর চার্জ নেওয়ার এমন সিদ্ধান্তকে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ বলে অভিহিত করেছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ২০১০ সালের ধসের পর থেকে গত এক যুগ মন্দা অবস্থা পার করেছে পুঁজিবাজার। পুঁজি হারিয়ে বাজার ছেড়েছেন ১০ থেকে ১২ লাখ বিনিয়োগকারী। এ অবস্থার মধ্যেও বর্তমানে যারা বাজারে বিনিয়োগ করেছে তারাই প্রকৃত বিনিয়োগকারী। তাদের ধরে রাখতে ও সাধারণ মানুষকে বাজারের প্রতি আকৃষ্ট করতে এ মুহূর্তে যেখানে প্রয়োজন বিশেষ ছাড়; ডিএসই সে জায়গায় নতুন করে আরোপ করছে চার্জ। ফলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা আরও কমবে। ডিএসইর উচিত এ খাতের বিনিয়োগকারীদের সাপোর্ট দেওয়া। মোবাইল অ্যাপসের সমস্যা সমাধান করা।
২০১৬ সালের ৯ মার্চ মোবাইল অ্যাপস সেবা চালু করে ডিএসই। এর ফলে ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে ঘরে কিংবা অফিস-আদালতে বসে লেনদেনের সুযোগ পান বিনিয়োগকারীরা।
অ্যাপসে লেনদেন চালুর ৭ বছর তিন মাস পর ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতিমাসে ১২৫ টাকা করে চার্জ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর। এরপর গত ১২ জুলাই ডিএসইর পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি স্টক ব্রোকারদের কাছে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, ডিএসই মোবাইল অ্যাপের নতুন ব্যবহারকারীকে চলতি জুলাই মাস থেকে ১২৫ টাকা মাসিক চার্জ দিতে হবে। তবে যারা আগে থেকেই অ্যাপটি ব্যবহার করছেন তাদেরকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ফি দিতে হবে না।