পণ্য রপ্তানি তিন বছর ধরে, আসেনি অর্থ

সমকাল প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২৩, ১২:৩১

কাগজে-কলমে ঢাকার দক্ষিণখানের জব্বার মার্কেটে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইমো ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের অফিস। কিন্তু সরেজমিন দক্ষিণখানের ওই মার্কেটে গিয়ে কাস্টমস গোয়েন্দারা দেখতে পান, এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই নেই। অথচ গত তিন বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি দুবাই, মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবে তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। কিন্তু সে অনুযায়ী দেশে আসেনি পণ্য বিক্রির কোনো অর্থ। অর্থাৎ ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে রপ্তানির আড়ালে গত তিন বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি দেদার অর্থ পাচার করে গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বিষয়টি কাস্টমস গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়। এর পর ৯ ফেব্রুয়ারি গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত করতে গিয়েই গত তিন বছর ধরে ইমো ট্রেডিংয়ের জালিয়াতির বিস্তারিত বেরিয়ে আসে।


কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্র বলছে, অন্য প্রতিষ্ঠানের ইএক্সপি ব্যবহার, জাল রপ্তানি দলিল তৈরি, বিধিবহির্ভূতভাবে বিশেষ রপ্তানি কোড ব্যবহার, বিল অব এক্সপোর্টে ভুয়া রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকের নাম, এলসি নম্বর ব্যবহার করে জালিয়াতি করেছে ইমো ট্রেডিং। প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংকে জমা দেওয়া রপ্তানি তথ্যের সঙ্গে কাস্টমস থেকে পাওয়া তথ্যের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। তিন দেশে ইমো ট্রেডিং তিন বছরে ২৫২৩ টন পণ্য রপ্তানি করলেও বিক্রির ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার দেশে আসারও কোনো প্রমাণ মেলেনি।


কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সজীব দেবনাথ বলেন, ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্দর ও কাস্টম হাউসে ইমো ট্রেডিং এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইম্যাক্স শিপিং লিমিটেড যোগসাজশ করে পণ্য রপ্তানিতে একের পর এক জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। রপ্তানি দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে রাজস্ব ফাঁকি ও দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষতিসাধন করেছে। মিথ্যা ঘোষণা ও ভুয়া দলিল তৈরি করে ২৭৩টি পণ্যচালান রপ্তানি করলেও বিপরীতে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসেনি। জালিয়াতির ঘটনায় নগরীর বন্দর থানায় গত ৫ এপ্রিল কাস্টমস আইনে মামলা করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us