ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। বিমে ফাটল ধরে রড বের হয়ে আছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে শয্যা ও মেঝে ভিজে যায়। এই অবস্থা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতল ভবনের। সংস্কার না করায় চিকিৎসকদের আবাসিক ভবনও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছেন রোগী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এসব ভবনে অবস্থান করার সময় সবাই আতঙ্কে থাকেন। পলেস্তারা খসে পড়ে আহত হতে পারেন—এই আশঙ্কায় এক কর্মচারী হেলমেট পরে দায়িত্ব পালন করছেন।
এই সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকট। গাইনি-বিশেষজ্ঞ ও অবেদনবিদ না থাকায় এখানে পাঁচ বছর ধরে প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচারের কক্ষের মূল্যবান সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া একই সময় চিকিৎসকদের জন্য তিনটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চারটি ভবনেরই অবস্থা খারাপ। শুরুতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যার ছিল। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ওই সময় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পুরোনো ভবনে লাগোয়া আরেকটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করে।
তিনতলা নতুন ভবনের নিচতলায় চিকিৎসকদের ছয়টি চেম্বার, শিশুদের টিকা দেওয়ার একটি কক্ষ, দোতলায় অস্ত্রোপচারের কক্ষ ও তিনতলায় পুরুষ ওয়ার্ড (১৬টি শয্যা), দুটি কেবিন, একটি লেবার ওয়ার্ড ও একটি সভাকক্ষ রয়েছে। এখানে স্থানসংকুলান না হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরোনো ভবনে বাকি দুটি ওয়ার্ডে ৩১ শয্যা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ শয্যার নারী ও শিশুদের ওয়ার্ড এবং ১২ শয্যার পুরুষদের ওয়ার্ড।