আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৪ বছরে অঢেল সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন বিভিন্ন স্তরের চাকরিজীবীরা। বিশেষ করে গত দুটি (২০১৪ ও ২০১৮) নির্বাচনের আগে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এগুলো দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনি কাজে সরাসরি যুক্ত থাকেন প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও শিক্ষকসহ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তাদের সন্তুষ্ট রাখতেই মূলত এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা মনে করছেন-পদোন্নতি, বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে নির্বাচন কিংবা অন্য কিছুর সম্পর্ক নেই। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে সরকারের উচিত ছিল তাদের বেতন-ভাতা আরও আগেই বৃদ্ধি করা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উল্লিখিত সময়ে যেসব সুযোগ-সুবিধা সরকারি চাকরিজীবীদের দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-প্রশাসনে সিনিয়র সচিবের পদ সৃজন। সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া হয়েছে ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ। প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তা এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্মসচিব (ড্রাফটিং) থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা ঋণে গাড়ি ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ মাসে ৫০ হাজার টাকা পাচ্ছেন।
শুধু তাই নয়, চলমান অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও ১৮ জুলাই অর্থ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তবে যাদের বেতন কম তাদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়। সর্বশেষ বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বোনাস ও উৎসব ভাতা করের আওতামুক্ত করে আদেশ জারি করেছে। তবে অন্যান্য আয়ের ওপর কর দিতে হবে।