রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো— চিকিৎসকদের মতে সব সমস্যার একটাই সমাধান হল হাঁটা। সুস্থ থাকতে হাঁটার যে কোনও বিকল্প নেই। ঠিক কী ভাবে কত ক্ষণ হাঁটলে কতটা উপকার পাবেন? ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা ওজন কমানোর জন্য কত ক্ষণ হাঁটা জরুরি? বলা হয়, দিনে দশ হাজার পা হাঁটাই আদতে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।
শরীর চাঙ্গা রাখার জন্য অনেকেই সকালে কিংবা সন্ধ্যায় হাঁটাহাঁটি করেন। তবে বর্ষার মরসুমে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির কারণে হাঁটতে যাওয়ার সুযোগ হয় না, বৃষ্টি না হলেও চারদিকে কাদা, জল জমার কারণে অনেকেই বর্ষাকালে বাইরে হাঁটতে যেতে পছন্দ করেন না। তা হলে কী করে চাঙ্গা থাকবে শরীর? হাঁটাহাঁটিও বা হবে কী করে?
১) অফিস থেকে বাড়ি ফিরে অনেকেই টিভি বা ওয়েব সিরিজ় দেখতে শুরু করেন। কেউ সোফায় বসে, কেউ আবার বিছানায় শুয়ে সিরিজ় উপভোগ করেন। শরীর চাঙ্গা রাখতে হলে টিভিতে সিরিজ় কিংবা সিনেমা দেখতে বাড়িতেই হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
২) আপনি কি বলিউডের গান শুনতে ভালবাসেন? তা হলে মোবাইল কিংবা টিভিতে গান চালিয়ে তার সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে মনের আনন্দে ঘণ্টাখানেক নাচ করুন। চেষ্টা করুন দ্রুত লয়ের গান বাছাই করার। নাচ করলে কিন্তু হাঁটার তুলনায় আরও বেশি ক্যালোরি খরচ হবে। জুম্বাতে মিশে আছে রাম্বা, সালসা ও হিপহপের মতো নৃত্যশৈলী। শুধু শিল্পকলা হিসাবেই নয়, শরীরচর্চার উপায় হিসাবেও এই নাচ বেশ উপযোগী। জুম্বা নাচলে ঝরঝরে থাকে হাত, পা ও পেটের পেশি।
৩) দিনের অনেকটা সময় আমরা ফোনে কথা বলি। বান্ধবীর সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলার সময়ে হোক কিংবা অফিসের কোন ‘কনফারেন্স কল’ চলাকালীন— এক জায়গায় বসে কথা না বলে চেষ্টা করুন হাঁটাহাঁটি করার।
৪) এখন আমরা অনেক বেশি যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়েছি। বাড়ির কাজের জন্য না হয় কোনও যন্ত্রের উপর আমারা নির্ভর করি আর না হলে পারিশ্রমিক দিয়ে পরিচারিকা রাখা হয়। বর্ষায় হাঁটাহাঁটির সুযোগ কম। তাই সব কাজ না হলেও চেষ্টা করুন অন্তত ঘরের আসবাবপত্র নিজে মুছতে। এতেও কিন্তু বেশ খানিকটা হাঁটাহাঁটির সুযোগ হয়।