চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিয়াদুল করিম। সাক্ষাৎকারের প্রশ্নের লিখিত জবাব দিয়েছেন সিইসি।
জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হলো। এই নির্বাচনগুলো নিয়ে কমিশনের মূল্যায়ন কী?
সিইসি: নির্বাচনগুলো শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। কারচুপি, সহিংসতার অভিযোগ ছিল না, কেবল বরিশাল সিটি নির্বাচনে একজন প্রার্থীর ওপর শারীরিক হামলার বিক্ষিপ্ত ঘটনাটি ব্যতিরেকে। ভোটাররা অবাধে ভোট দিতে পেরেছেন। পুলিশ বা প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠেনি।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হলেও গ্রহণযোগ্য বলা যাবে না। কারণ, তাতে ক্ষমতাসীনদের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। কমিশন কীভাবে দেখে?
সিইসি: কমিশন নির্বাচনের আইনগত বৈধতার বিষয়টি দেখবে। দেখবে আইনগতভাবে নির্বাচনগুলো বৈধ হয়েছে কি না। বিভিন্ন বিশ্লেষক বিভিন্নভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন।
২০১৮ সালের পাঁচ সিটি নির্বাচনে অভিযোগ উঠেছিল, নির্বাচন ইসির হাত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এবার বিএনপি না থাকায় ইসিকে সে ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়নি। অনেকে বলছেন, ইসিকে আসলে এখন পর্যন্ত তার ক্ষমতা প্রয়োগের সক্ষমতার পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। কী বলবেন?
সিইসি: অতীতে কী হয়েছে বা হয়নি, সে প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করব না। আমরা এযাবৎ কী করতে পেরেছি, বড়জোর সেটার মূল্যায়ন হতে পারে। অবশিষ্ট ভবিষ্যতে আমরা আমাদের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনে কতটা সফল বা ব্যর্থ হব, সেটার মূল্যায়ন ভবিষ্যতেই যথাসময়ে হতে পারবে।