বাংলাদেশে হৃদ্রোগী দিন দিন বাড়ছে। এই বৃদ্ধির জানা-অজানা নানা কারণ রয়েছে। আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান ও জীবনযাত্রার কারণে হৃদ্রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। সাধারণত হৃদ্যন্ত্রের অক্সিজেন বহনকারী ধমনি সংকীর্ণ বা বন্ধ হলে হৃদ্রোগের সমস্যা দেখা দেয়। হৃদ্রোগের মূলত তিন ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি রয়েছে।
প্রথমত, নিয়মিত ওষুধ খাওয়া। সব স্তরের চিকিৎসাপদ্ধতির জন্য এটি প্রযোজ্য।
দ্বিতীয়ত, ইনভেসিভ চিকিৎসা যেমন হৃৎপিণ্ডের প্রায় বন্ধ বা ব্লক হওয়া ধমনির মধ্যে ঢুকে এক বা একাধিক রিং (স্টেন্ট) বসানো, যাকে পিসিআই বলা হয়।
তৃতীয়ত, বাইপাস সার্জারি বা সিএবিজি করা।
শেষের দুই পদ্ধতি দ্রুত ও জরুরি চিকিৎসাপদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কোনো ধরনের ইনভেসিভ পদ্ধতি ছাড়াই হৃৎপিণ্ডের রক্তনালির সংকীর্ণতা বা বন্ধ হওয়া ধমনির উপযুক্ত চিকিৎসা করা, যা কিনা ক্রমবর্ধমান ও স্থিতিশীল হৃৎপিণ্ডের ব্যথার রোগীর জন্য প্রযোজ্য। এর মধ্যে রয়েছে ইইসিপি পদ্ধতি, যা বিজ্ঞানসম্মত, কার্যকর, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন, ব্যয় সহনীয়, সহজ ও নিরাপদ চিকিৎসাব্যবস্থা। ইইসিপি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হৃৎপিণ্ডের ক্রমবর্ধমান ও স্থিতিশীল এনজাইনা বা ব্যথা নিরসনে বহুলাংশে ব্যবহার হয়ে আসছে।