উত্তরবঙ্গের ইট প্রস্তুতকারক বনলতা রিফ্র্যাকটরি কার্বন নিঃসরণ এবং পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে ইট তৈরির আধুনিক পদ্ধতি চালু করতে চাইছিল বহু বছর ধরেই। কিন্তু পরিবেশবান্ধব ভাটা তৈরির জন্য তহবিল পাচ্ছিল না।
২০২০ সালের গোড়ার দিকে বনলতা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, বাংলাদেশ ব্যাংক টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের জন্য কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। তারপর লাগল পরিবর্তনের হাওয়া।
ইটভাটায় হাইব্রিড হফম্যান চুল্লি বসানোর জন্য ৫ কোটি টাকা ঋণ পায় বনলতা। এ ধরনের ভাটা চালাতে সনাতনী স্থায়ী চিমনির চুল্লির চেয়ে কম কয়লা লাগে। ফলে বায়ু দূষণ ও তাপ বিকীরণ কম হয়।
পরিবেশ ও জলবায়ুবান্ধব প্রকল্পের জন্য বনলতা ওই ঋণ পায় ৬ শতাংশ সুদে, যেখানে সাধারণ প্রকল্পে ওই অর্থ পেতে ১০ শতাংশ সুদ দিতে হত।
নাটোরের বনলতা ইট ভাটার অপারেশন ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানালেন, তারাই এখন উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় ইট প্রস্তুতকারক।
“স্থায়ী চিমনির চুলায় যে কয়লা লাগত, হাইব্রিড হফম্যানে লাগে তার অর্ধেক। নতুন চুল্লি চালু করায় আমরা কার্বন নির্গমণ ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পেরেছি,” বলেন শহিদুল।