কুড়িগ্রামে সব নদ-নদীর পানি কমলেও দুর্ভোগে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অধিকাংশ চরের নিচু এলাকার বসতভিটা থেকে এখনও পানি নামেনি। এতে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গতকাল মঙ্গলবার ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চর খেয়ার আলগা, মশালের চর, পোড়ার চর, চর রসুলপুর, দুধকুমার অববাহিকার কুটির চর ও ফান্দের চরে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার অনেক বাসিন্দা উঁচু জায়গায় যেতে পারেননি। তারা ঘরের বিছানায় ও নৌকায় পরিবার নিয়ে অবস্থান করছেন। অনেকে পাশের উঁচু জায়গায় আছেন। কেউ কেউ বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
জানা গেছে, সরকারিভাবে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হলেও রান্নার জন্য নেই জ্বালানি। ভাতের সঙ্গে খাওয়ার মতো সবজি বা ডালও নেই। টিউবওয়েলগুলো এখনও পানির নিচে থাকায় সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। পয়ঃনিষ্কাশনেও ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার পোড়ার চরের নাদু শেখ বলেন, ‘আজ পাঁচ-ছয় দিন থাকি নৌকাত আছি। খাওয়া-দাওয়া চলাফেরার খুব কষ্ট হইছে। ছোট বাচ্চাগুলারে নিয়া খুব কষ্ট আছি।’
জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রামের ৪৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৬১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ৬৬টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ভেসে গেছে ৬৫০টি পুকুরের ১৩০ টন মাছ।