সম্প্রতি গবেষণা সংস্থা ‘উন্নয়ন সমন্বয়’ রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজন করেছিল ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন’ শক্তিশালীকরণ সংক্রান্ত এক নাগরিক সংলাপের। এ সংলাপে দেশের অনেক বিশিষ্ট নাগরিক তামাক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যে আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন, তাতে মনে হয়েছে, জনহিতকর প্রচেষ্টাটি শুরু করতেই অনেক বিলম্ব করে ফেলেছি।
এই সংলাপে পৌরোহিত্য করা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান রাজনীতিবিদদের প্রতি জনকল্যাণের কথা বিবেচনায় নিয়ে জনস্বাস্থ্যবান্ধব নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান। তাঁর মতে, এটি টেকসই রাজনৈতিক সংস্কৃতির চমৎকার অনুষঙ্গ হতে পারে। তাঁর আশঙ্কা, স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীন প্রান্তিক-শ্রমজীবী মানুষ নির্বাচনী প্রচারণায় এসব স্বাস্থ্যহানিকর অপদ্রব্য ভোটদানের উৎকোচ হিসেবে লুফে নিচ্ছে। তামাকপণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের এই নির্বাচনী মৌসুমগুলোতে রীতিমতো টার্গেট নিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিপণনে সক্রিয় হয়ে ওঠে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ও বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান তামাকপণ্য সেবনের যে ভয়াবহ তথ্য আমাদের সামনে হাজির করেছে; রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক যারা হবেন, তাদের এই সচেতন অভিপ্রায় আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি।