তার প্রিয় ঋতু ছিল বরষা। তাই গল্প-উপন্যাস থেকে নাটক, সিনেমা কিংবা গানে, বৃষ্টিবন্দনা করেছেন বহুবার, বহু ঢঙে। আর এই বৃষ্টিময় বরষা দিনেই তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন অনন্তলোকে। কিন্তু চলে যাওয়ার আগে সমৃদ্ধ করে গেছেন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভুবন।
তিনি হুমায়ূন আহমেদ। যাকে এক শব্দে জাদুকর বলেন ভক্তরা। কারণ কথাসাহিত্যে তিনি যে মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেছেন, নির্মাণে যে নিজস্ব আলো জ্বালিয়েছেন, তা চির ভাস্বর। তাই বছর ঘুরে বরষা এলেই তার বিদায়ের বিষাদ ঘিরে ধরে ভক্তদের।
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) সেই বিষণ্ণ বিদায়ের দিন। ২০১২ সালের এই দিনে মারা গেছেন হুমায়ূন আহমেদ। সেই হিসাবে আজ তার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
প্রতি বছরই তার প্রয়াণ দিনে পারিবারিকভাবে দোয়ার ব্যবস্থা থাকে জন্মস্থান নেত্রকোনা ও তার গড়া প্রিয় জায়গা নুহাশ পল্লীতে। এছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে থাকে তার নির্মিত নাটক, সিনেমা ও সাহিত্য নিয়ে বিশেষ আয়োজন। ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কুতুবপুরে জন্মেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। কলমের আঁচড়ে তিনি যে গল্পজগত তৈরি করেছেন, তা আজও সবার কাছে বিস্ময় হয়ে আছে। তার রচিত তিন শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলো দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের পাঠকের কাছেও হয়েছে সমাদৃত।