শিগগিরই নিবন্ধনের আওতায় আসছে ৬৫ হাজার নৌযান। যেগুলো মাছ ধরার কাজে বঙ্গোপসাগরে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব নৌযানের ধারণক্ষমতা ১৫ টনের কম। সাগরে ৪০ মিটার গভীরতার মধ্যে এগুলো চলাচল করে। এসব তথ্য বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন সামুদ্রিক মৎস্য দফতর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান।
সামুদ্রিক মৎস্য দফতর সূত্র জানায়, সমুদ্রে মাছ ধরায় নিয়োজিত আছে এমন নৌযানের ধরন তিনটি। ধরনগুলো হলো—বাণিজ্যিক ট্রলার, যান্ত্রিক নৌযান ও আর্টিশনাল নৌযান। এর মধ্যে দেশে নিবন্ধিত নৌযানের মধ্যে বাণিজ্যিক ট্রলার ২৩১টি ও যান্ত্রিক নৌযান ২৮ হাজার ৫০০টি। অপরদিকে আর্টিশনাল যান্ত্রিক নৌযান আছে ৬৫ হাজার। এর বেশিও থাকতে পারে। তবে আর্টিশনাল নৌযানগুলোর নিবন্ধন নেই। যে কারণে প্রকৃত সংখ্যাও নেই দফতরে। ফলে এগুলো এবার নিবন্ধনের আওতায় আসছে। তিন ধরনের নৌযান দেশের ১৪টি উপকূলীয় জেলা এবং ৬৭টি উপজেলার নদী ও সাগরে চলাচল করে।
মৎস্য দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাগরে নৌযান চলাচল নিয়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। সেসব বিধিনিষেধ মানছে না অনিবন্ধিত নৌযানগুলো। বিশেষ করে সাগরের তীর থেকে ১০ মিটারের মধ্যে মাছ ধরায় বিধিনিষেধ আছে। এই স্থানকে মাছের প্রজনন স্থান বলা হয়। নিবন্ধিত নৌযানগুলো এই বিধিনিষেধ মানলেও অনিবন্ধিত নৌযানগুলো বিধিনিষেধ মানছে না। ফলে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া যায় না। এই কারণে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে।