দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংক নিয়ে ২০১৩ সালে প্রথম সেরা ব্যাংক নির্বাচন করে বণিক বার্তা। তার পর থেকেই প্রতি বছর এ র্যাংকিং প্রকাশ করা হচ্ছে। ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবার ৩৫টি ব্যাংক নিয়ে দশম র্যাংকিং তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সাতটি নির্দেশক স্কোরিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর আর্থিক কার্যক্রমের মূল্যায়ন করা হয়েছে।
সুদ আয়ের বাইরে দেশের ব্যাংকগুলোর মুনাফার বড় অংশ আসছে বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে। ডলার সংকটের কারণে ২০২২ সালে এ খাত থেকে ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমেছে। বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার থেকেও প্রত্যাশা অনুযায়ী মুনাফা করতে পারেনি ব্যাংক। আবার তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোর তহবিল সংগ্রহের ব্যয়ও বেশ বেড়েছে। সব মিলিয়ে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা অর্থনৈতিক সংকটের চাপ সামলাতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। এর মধ্যেও গত বছর প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে দেশের কিছু ব্যাংক। আবার ভালো অবস্থানে থাকা কিছু ব্যাংক র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫টি ব্যাংকের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে করা বণিক বার্তার র্যাংকিং থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর র্যাংকিং করেছে বণিক বার্তা। ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছরই নিয়মিতভাবে এ র্যাংকিং প্রকাশ করা হচ্ছে। গত বছর পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংক নিয়ে এ র্যাংকিং করা হয়। তবে এবারের র্যাংকিংয়ে গত তিন বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবিসি, মিডল্যান্ড, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রতিবেদনে ২০২১ সালের র্যাংকিংয়ের সঙ্গে ২০২২ সালের র্যাংকিয়ে ব্যাংকগুলোর উন্নতি-অবনতি এবং প্রাপ্ত নম্বর হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়টি তুলনা করার সময় ৩০টি ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিভিন্ন করপোরেট রিসার্চ টিমের সহায়তায় ১১তম বারের মতো এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।