শুকনো কথায় যেমন চিড়া ভেজে না; তেমনি দেশের কর্তাব্যক্তিদের আইনের শাসন নিশ্চিত করার আশ্বাসে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্বাস রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কথাটা বলার কারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে তদন্ত কর্মকর্তা এ পর্যন্ত ৯৮ বার সময় নিয়েছেন। ১১ বছর ধরে বিচার পাওয়ার আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছে তাদের একমাত্র সন্তান মেঘ। অথচ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান সেদিনের সাড়ে ৪ বছরের শিশু মাহির সরওয়ার মেঘ এখন ১৫ বছরের কিশোর। মামলার তদন্ত সংস্থা ও কর্মকর্তার কত পরিবর্তন হলো; তবু প্রতিবেদন মিলল না!
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের আধুনিক প্রশিক্ষণ ও তদন্ত কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার পরও একটি মামলা তদন্তে এক যুগ সময় লাগলে বুঝতে হবে, গোড়াতেই গলদ আছে।
এ নিবন্ধ যেদিন লেখা হচ্ছে, ২০০০ সালের একই দিন অর্থাৎ ১৬ জুলাই রাতে জনকণ্ঠের যশোর কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান সাংবাদিক শামছুর রহমান। ২৩ বছরেও খুনিদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো যায়নি। জানা গেছে, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ। এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে রাষ্ট্রপক্ষ এখনও কোনো কার্যকর উদ্যাগ নেয়নি।