জনপ্রিয় শর্ট-ফর্ম ভিডিওর শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক কিশোর-কিশোরীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য উল্লেখযোগ্য দুটি উদ্যোগ ঘোষণা দিয়েছে। পিতামাতা ও অভিভাবকদের মূল্যবান সব ফিডব্যাকের ফলে টিকটক তাদের ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচারের মাধ্যমে কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। এখন অ্যাপটি ব্যবহার করার সময় কিশোর-কিশোরীরা যে কনটেন্টগুলো দেখছে তাদের অভিভাবকরা সেগুলো আরও বেশি করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এতে করে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সেফটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবে।
অভিভাবকরা তাদের কিশোর-কিশোরীদের জন্য যেসব শব্দ, হ্যাশট্যাগ এবং থিমকে অনুপযুক্ত মনে করেন সেগুলো কনটেন্ট ফিল্টারিং টুল ব্যবহারের মাধ্যমে ফিল্টার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে তারা তাদের সন্তানদের জন্য একটি উপযুক্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পারবেন।
ফ্যামিলি পেয়ারিংয়ে মা-বাবারা তাদের সন্তানদের টিকটক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নিজের অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন যেভাবে:
স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্ট : আপনার সন্তানরা দিনে ঠিক কতটা সময় টিকটকে কাটাতে পারবেন সেটি আপনি নিয়ন্ত্রণ করে দিতে পারবেন। সেখানে বেছে নেওয়া যাবে, তারা দিনে ঠিক কত সময় টিকটকে দেবে।
রেস্ট্রিকটেড মোড : সব দর্শকের জন্য উপযুক্ত নয় এমন কনটেন্ট সীমাবদ্ধ করে দিতে পারবেন। এমনকি ফ্যামিলি পেয়ারিং না করেও মা-বাবারা অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটাল ওয়েলবিং কন্ট্রোলের মাধ্যমে তাদের সন্তানের স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্ট এবং রেস্ট্রিকটেড মোড চালু করে দিতে পারবেন।
ডিরেক্ট মেসেজ : আপনার সংযুক্ত করা অ্যাকাউন্টে কে সরাসরি মেসেজ পাঠাতে পারবে সেটি সীমাবদ্ধ করে দিতে পারবেন। কিংবা একবারেই ডিরেক্ট মেসেজ অপশন বন্ধ করে দিন। ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, টিকটক মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণ চালু করেছে। যেমন, শুধু ফলোয়াররাই মেসেজ দিতে পারবেন এবং টিকটক কোনো ছবি ও ভিডিও পাঠানোর অনুমতি দেবে না। এমনকি ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিরেক্ট মেসেজ সীমাবন্ধ করে দেবে।
গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা সেটিংস নিয়ন্ত্রণ : আপনার কিশোর-কিশোরী সন্তানের ভিডিওতে কে লাইক দিতে পারবে বা কমেন্ট করতে পারবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তার অ্যাকাউন্টটি পাবলিক নাকি প্রাইভেট থাকবে এবং অন্যদের রেকমেন্ড করবে কি না। মা-বাবারা এটাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, তার সন্তানরা কি খুঁজবে; ব্যক্তি, হ্যাশট্যাগ কিংবা সাউন্ড।