২০২১ সালের সেপ্টেম্বর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার মালিবাগ ছেড়ে যাওয়া সাতক্ষীরাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে পৌনে সাত কেজি ওজনের স্বর্ণ আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। স্বর্ণের বারগুলো ড্রাইভারের সিটের নিচে অত্যন্ত কৌশলে লুকানো অবস্থায় ছিল। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর এগুলোর হদিস পান কাস্টমসের কর্মকর্তারা। আটককৃত স্বর্ণের মূল্য ওই সময়ের হিসাবে প্রায় ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
এর পরের মাসেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্কতামূলক অবস্থান নেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। দুবাই ও ওমান থেকে আসা দুটি ফ্লাইট সে সময় বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইট দুটি অবতরণের পর গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক নিরাপত্তাকর্মী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। সে সময় আশপাশে উপস্থিত গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের সহায়তায় তাকে ধরে ফেলা হয়। তল্লাশি চালিয়ে ওই নিরাপত্তাকর্মীর কোমরে বেল্টের নিচ থেকে হলুদ স্কচটেপে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটগুলোয় ছিল ৯ কেজি ২৮০ গ্রাম ওজনের ৮০টি স্বর্ণবার, যার মূল্য ওই সময় নিরূপণ করা হয় ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আটক ওই নিরাপত্তাকর্মী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন স্বর্ণবারগুলো দেশে আনা হয়েছে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে। দেশে আনার পর এগুলো রাখা হয়েছিল বিমানবন্দরের টয়লেটে। তার কাজ ছিল নিরাপদে চোরাচালানকৃত স্বর্ণ বিমানবন্দরের বাইরে পাচার করা।