ডলার সংকটের মধ্যে এ সময়ের সবচেয়ে বড় খবর কোনটি? নিঃসন্দেহে ডলারের পাশাপাশি রুপিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চালু হওয়ার খবরটি। গত মঙ্গলবার এ সম্পর্কে দুই দেশ বিকল্প লেনদেন চালু করেছে। খবরটি পাঠ করতে করতে আমার অনেক আগের ঘটনা মনে পড়ে গেল। স্বাধীনতার পরপর সময়ের ঘটনা। দেশ সদ্য শত্রুমুক্ত হয়েছে। চারদিকে ধ্বংসের চিহ্ন। উৎপাদন বন্ধ ছিল নয় মাস। কৃষকরা কাজ করতে পারেননি। আমদানি-রপ্তানি ছিল বিঘ্নিত। পণ্যাভাব সর্বত্র। সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ফল লাভ হচ্ছে খুবই কম। ডলার নেই আমদানি করার।
আমার মনে আছে, ২৫-৩০ ডলারের জন্যও তখন যেতে হতো বাংলাদেশ ব্যাংকে। কতবার যে গিয়েছি তার কোনো হিসাব নেই। নিজের জন্য, বন্ধুদের জন্য। ডলারের জন্য রীতিমতো ‘যুদ্ধ’ বা তদবির। তাও কত ডলার? মাত্র ২৫-৩০ ডলার। ভাবা যায়! এখন ১০ হাজার ডলার নিয়ে প্রতিবেশী ভারতে যাওয়া যায়। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকে যেতে হয় না। যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকই যথেষ্ট। ওই সময় আর আজকের সময়ের মধ্যে কত তফাৎ! তখন আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্য কী ছিল? মোটে পাট, পাটজাত দ্রব্য, চা, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য এবং কিছু হস্তশিল্পজাত দ্রব্য। তৈরি পোশাক বা রেমিট্যান্সের নামগন্ধ তখন নেই। তাহলে উপায় কী? কী রপ্তানি হবে, কীভাবে হবে আমদানি? সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) আমাদের অকৃত্রিম বন্ধুদেশ।