বিশ বছরের ব্যবধানে দুবার হিমালয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। দুবারই গিয়েছিলাম একই সময়ে, জুন মাসে। এই সামান্য সময়ের ব্যবধানেই পার্থক্যটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম। প্রথমবার হিমালয়ের যে পথ ধরে সকালবেলা হেঁটেছিলাম, সেই পথের চারপাশে আহা কী অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য! রুক্ষ পাথরের সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়াগুলো সাদা বরফের মুকুটে ঢাকা, খাদে খাদে বরফের স্রোত যেন নদীরেখার মতো, ওপর থেকে নেমে আসা শত শত ঝরনার জল চকচকে কাচের ফিতার মতো জমাট বরফ হয়ে ঝুলছে, পথের ওপর সাদা গুঁড়ো গুঁড়ো বরফের কুচি, তীব্র ঠান্ডা পোশাকের ওপর দিয়ে যেন সুচ হয়ে ফুটছে, মাঝে মাঝে পথের ওপর বরফের চাঁই উপুড় হয়ে থাকা ডিঙি নৌকার মতো।
গাছপালা খুব সামান্যই চোখে পড়ে। হাঁটতে হাঁটতে ওপরে উঠছিলাম, একটা হিমবাহ আর হিমবাহ গলে নামা জলের ধারায় সৃষ্ট একটা জলপ্রপাত দেখার আশায়। মুঠো ভরে বরফকুচি নিয়ে বল ছোড়ার মতো করে খেলছিলাম আর ছবি তুলছিলাম।