গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত সুষম খাবারের অভাবে মায়ের ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে কম। এতে কম ওজনের শিশু জন্ম নিচ্ছে। আর এই অপুষ্টির দুষ্টচক্রে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের মা ও শিশুরা।
আইসিডিডিআরবির গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। দেশের একটি এলাকার অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ওপর ওই গবেষণা চালানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার আইসিসিডিআরবি কার্যালয়ের সাসাকাওয়া সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে ওই গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা বলা হয়, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রতি দুজনের একজনের গর্ভকালীন ওজন কম বেড়েছে।
এ কারণে প্রতি ১০ শিশুর চারজনই কম ওজন নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। আবার গ্রামের তুলনায় শহরের নিম্ন আয়ের পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা নারীরা প্রাণিজ আমিষ, জিংক ও স্নেহজাতীয় খাবার কম খাচ্ছেন।
‘স্পটলাইন অন ম্যাটারনাল নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশ’ (বাংলাদেশে মাতৃপুষ্টির ওপর আলোকপাত) শীর্ষক অনুষ্ঠানে দুটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরেছে আইসিসিডিডিআরবি। গবেষকেরা জানান, দারিদ্র্য ও অসচেতনতার কারণে দেশে পুষ্টির অভাবে গর্ভকালে
প্রয়োজনের তুলনায় মায়েদের কম ওজন বাড়ে। এতে কম ওজনের শিশু জন্ম নেয়। সেই শিশু খর্বকায় ও কম বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ার আশংকা থাকে। এই শিশুদের কৈশোরও অপুষ্টির মধ্য দিয়ে যায়। অপুষ্টির শিকার মেয়ে শিশুটি পরিণত বয়সেও অপুষ্টির অভাবে ভুগতে পারে এবং সে পরে মা হলে আবারও অপুষ্ট শিশু জন্ম নেয়। এটা অপুষ্টির একটি দুষ্টচক্র।