বরাবরের মতো আজ বিশ্বব্যাপী প্রতিপালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি: নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে অবারিত হোক সম্ভাবনার দ্বার’।
স্বাধীনতা–পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ যেসব খাতে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে, তার মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা সেবা অন্যতম। জাতীয় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত এই সফলতার গল্প বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রয়াসের ফল। অথচ বিগত দশকে এই সফলতার ধারাবাহিকতা অনেকটাই স্থিমিত হয়ে পড়েছে। এর অন্যতম অন্তর্নিহিত কারণ জেন্ডার বৈষম্য— বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায়। প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় জেন্ডার বৈষম্যের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানান রকম সহিংসতা যেমন বাল্যবিয়ে, যৌতুক, অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু ইত্যাদি। যদিও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা একটি বৈশ্বিক সমস্যা, তথাপিও এর কার্যকারণ অনেকটাই প্রেক্ষাপটনির্ভর।