যৌনকর্মীদের আয়ের ৯০ শতাংশ ব্যবস্থাপনায় ‘ভাইয়েরা’

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৩, ২০:০০

“আমার পেশা যৌনকর্ম। বয়স ৩১। অনেক দিন এই লাইনে আছি। গত পাঁচ বছর ধরে অনলাইনে একটা যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ভাইদের নাম ও ফোন নম্বরসহ রাস্তায় যে কার্ড ছিটানো থাকে, তারা আসলে দালাল। ওসব নম্বর দেখে কেউ কল করলে, তাকে বাসা বা হোটেলে নিয়ে আসা হয়। আমরা অফিসের মতোই ৯টা-৫টা ভাড়া করা রুম বা হোটেলে থাকি। খদ্দের এলে ৬-৮ জন করে মেয়ে দেখানো হয়। ধরেন, খদ্দের কাজ শেষে দেড় হাজার টাকা দিলো। সেই টাকা কিন্তু আমাদের হাতে দেয় না। যে বাড়ি বা হোটেলে কাজ হয়, সেখানকার টাকা অমুক-তমুকের খরচ দিয়ে, দালাল নিজেরটা রাখার পরে আমাকে হয়তো দেবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। আমরা সেটা নিয়েই বের হয়ে আসি। টাকা যেহেতু অগ্রিম দেয় না, কাজ শেষে দেয়— সেহেতু এর বেশি চাইতে গেলে হুমকি-ধমকি দেয়। এমনও হয়েছে মাইরধর করে পুলিশে ধরায়ে দিয়েছে।”


কথাগুলো বলছিলেন এক যুগ ধরে যৌন পেশায় কাজ করা সোনালী। একবার এই পেশায় আসার পর কীভাবে বাধ্য হয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হয়, সেসব নিয়ে কথা বলেন সোনালী, রেশমি ও জাহানারা। তাদের প্রত্যেকের দাবি—দালালেরা এখনকার মতো ক্ষমতাশালী কখনোই ছিল না। কেননা, আগে পেশাটা সরাসরি কর্মীরাই নিয়ন্ত্রণ করতো। এখন সবই হয় এই ‘ভাই চক্রের’ কথা মতো। তারাই খদ্দের জোগাড় করে, তারাই জায়গা বরাদ্দ করে, তারাই আয় করে, কেবল কাজটা আমরা করি।


রাস্তায় চলার পথে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন ভাইয়ের নামে ভিজিটিং কার্ড। কার্ডগুলোতে কেবল নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া থাকে। থাকে না কোনও ঠিকানা। তেমনি এক ভাইয়ের কার্ড দেখে খদ্দের সেজে রিমন (ছদ্মনাম) কল দেন। তাকে রাজধানীর বনানীর কাকলী বাসস্ট্যান্ডে ডাকা হয়। বলা হয়—তাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ও মডেল রয়েছে। কাকলী থেকে দালালের লোক রিমনকে বনানী কবরস্থানের গলির এক অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যায়। সেই অ্যাপার্টমেন্টের সব ফ্ল্যাটে বিভিন্ন অফিস। ওপরের দিকে একটি ফ্ল্যাটের ভেতর স্পা সেন্টারের মতো সাজানো। ৬-৭ জন মেয়ে দেখিয়ে তাকে পছন্দ করতে বলা হয়। রিমন অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেয়েগুলোর বয়স খুব কম এবং কোনোভাবেই তাদের শিক্ষিত শ্রেণির বলা যাবে না।’ মেয়ে পছন্দ হয়নি বলে তিনি বের হয়ে আসতে চাইলে ভেতর থেকে মূল দালাল হাজির হয়ে তাকে আটকানোর চেষ্টা করে ও নানাবিধ ভয় দেখায়। পরে নানা কৌশলে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হন রিমন। কিন্তু তারপরে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল করে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি পাবলিক করা হবে বলে রিমনকে ভয় দেখানো হয়।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us