ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণার জন্য ২০১০ সালে গ্লোবাল হেলথ কাউন্সিল (ইউএসএ) তাকে ‘নিক সাইমন্স স্কলার’ নির্বাচিত করে। তার একটি গ্রন্থসহ ৭০টির বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণামূলক প্রকাশনা আছে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব সায়েন্টিফিক স্টাডি অব পপুলেশনসহ বিভিন্ন পেশাগত আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সঙ্গে কালবেলার কথা হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা
কালবেলা: আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি : নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কতটা অগ্রগতি অর্জন করেছে?
ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম : এ বছরের জনসংখ্যা দিবসের যে প্রতিপাদ্য সেখানে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যার মধ্যে নারীরা পুরুষের তুলনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে পৌঁছালেও এখনো অনেক ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে রয়েছে এবং সেই পিছিয়ে যাওয়ার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সূচকটি রয়েছে তা হলো অর্থনৈতিক সূচক। শ্রমবাজারে অংশগ্রহণে পুরুষের থেকে নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরো সর্বশেষ শ্রম জরিপ ২০২২-এর প্রভিশনাল প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা দেখতে পেয়েছি নারী এবং পুরুষের মধ্যে আগের চেয়ে ব্যবধান কিছুটা কমলেও এখনো যথেষ্ট ব্যবধান বিদ্যমান। এ ক্ষেত্রে শ্রমবাজারে ৪২.৬৭ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে যেখানে পুরুষরা রয়েছে ৭৯.৭১ শতাংশ অর্থাৎ শ্রম বাজারে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের প্রায় অর্ধেক। কাজেই এখানে জেন্ডার সমতার জায়গাটা নিশ্চিত হচ্ছে না।