জালিয়াতি করে শেখ রাসেলের নামে ভুয়া শিশু সংগঠনের নিবন্ধন নিয়ে নিজেকে সেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে পাতেন প্রতারণার জাল। চাকরি, বদলি, পদোন্নতি, তদবির, সংগঠনের কমিটি-বাণিজ্য এবং শিশুদের পুরস্কার দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।
এমনকি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদকে দেওয়া সরকারি জমি বিক্রির জন্য একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বায়না করে পকেটে পুরেছেন প্রায় ২ কোটি টাকা। তিনি মজিবুর রহমান হাওলাদার।
মামলার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বিদেশে পলাতক। তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরাও বিদেশে।
মজিবুর রহমান হাওলাদার ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন। এই সংগঠনের করা মামলার তদন্তেই তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে গত ১৮ জুন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে।