অরগানিক দুধও কি জীবাণুমুক্ত করে খেতে হয়?

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৩

দুধের পুষ্টিগুণ তো সবারই জানা। কিন্তু দুধের মাধ্যমেও যে জীবাণু ছড়াতে পারে, তা জানেন কি? ডায়রিয়া, বমি, পেটব্যথা তো বটেই, টাইফয়েড এবং যক্ষ্মার মতো রোগের জীবাণুও ছড়ায় দুধের মাধ্যমে। এমনকি কোনো কোনো জীবাণুর কারণে পরবর্তী সময়ে কিডনি–বৈকল্য, স্ট্রোক কিংবা অন্য জটিল স্নায়বিক রোগ যেমন গিয়েন বারি সিনড্রোম হয়ে থাকে। শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এসব সমস্যার ঝুঁকি বেশি।


কেউ আবার ভাবতে পারেন, অরগানিক দুধ কিংবা দক্ষ হাতে পালন করা সুস্থ-সবল গরুর দুধ থেকে হয়তো এসব জীবাণু ছড়াবে না। এমন ধারণা কিন্তু ভুল। কোনো প্রাণী অসুস্থ হলেই যে কেবল সেটির দুধ থেকে জীবাণু ছড়ায়, তা নয়। দুধ দোহানোর পর থেকে আপনার ঘরে পৌঁছানো অবধি নানান ধাপেই দুধে জীবাণু জন্মাতে পারে।


একটু সচেতন হলেই কিন্তু সমস্যাটা এড়াতে পারবেন। চলুন, জেনে নিন দুধ জীবাণুমুক্ত করার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।


ফোটানো


দুধ ফুটিয়ে বাড়িতেই জীবাণুমুক্ত করা যায়। তবে কাজটা করতে হবে সঠিক নিয়মে। মাঝারি আঁচে, ধীরে ধীরে দুধ ফোটাতে হবে। একসময় পাত্রের কিনারের দিকে বুদবুদ আসবে, মাঝের অংশেও বুদবুদ আসবে অল্পবিস্তর। ঠিক এই সময় চুলা বন্ধ করে দিন। এভাবেই দুধ হবে নিরাপদ। ফুটে উঠতে শুরু করার আগে নামানো যাবে না। সর না চাইলে চুলা বন্ধ করার পর দুধ নাড়তে শুরু করতে পারেন।


পাস্তুরায়ন


সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে পাস্তুরিত দুধ নিরাপদ। ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা তার নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হলে পাস্তুরিত দুধ নিরাপদ থাকে। দোকানে বা বাড়িতে—সব জায়গাতেই তাপমাত্রার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এই তাপমাত্রা থেকে বের করে আনার পর সরাসরি খাওয়া যাবে এই দুধ। অর্থাৎ, এই দুধ ফোটানোর প্রয়োজন পড়ে না। তবে একবার প্যাকেট খুলে তা থেকে পরে আবার দুধ নেওয়া হলে তখন ফুটিয়ে নেওয়া উচিত। পাস্তুরিত দুধের প্যাকেট বা বোতল খোলা অবস্থায় থাকলে তা কিনবেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us