দেশে এখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যেমন বাড়ছে, তেমনি যোগাযোগ অবকাঠামোরও উন্নয়ন ঘটছে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাঁদের বেশি দাম দিয়ে নতুন বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার সুযোগ নেই, তাঁরা সামর্থ্যের মধ্যে পুরোনো গাড়ি কিনেই নিজেদের প্রয়োজন মেটাচ্ছেন। এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহৃত তথা পুরোনো গাড়ির বাজারও বড় হচ্ছে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, শুধু রাজধানী ঢাকাতেই প্রতি মাসে সাড়ে চার হাজারের মতো ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি হয়। ক্রেতাদের মধ্যে সেডান গাড়ির (সাধারণ ব্যক্তিগত গাড়ি) পাশাপাশি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যালের (এসইউভি) চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্ভাবনাময় হলেও এই বাজারে বেশ কিছু সংকটও রয়েছে। যেমন ব্যবহৃত গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকঋণ সহজলভ্য নয়। এ ছাড়া গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনে দীর্ঘসূত্রতার পাশাপাশি উচ্চ করহার, মূল্যবৃদ্ধি, নতুনভাবে আরোপিত কার্বন কর রয়েছে। এর ওপর সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অবস্থারও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাজারে। তা না হলে বিক্রি আরও বাড়ত।
ব্যবহৃত গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা মহানগর পুরোনো গাড়ি ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির (ঢভকল) সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বাড়তি করহার ও বিআরটিএর হয়রানির কারণে ব্যবহৃত গাড়ির বাজার কাঙ্ক্ষিত গতিতে বাড়ছে না।