বিদেশে বিএনপির প্রভু

www.kalbela.com সুভাষ সিংহ রায় প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২৩, ১১:০১

পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খান একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ছিল ‘Friends not Masters’. জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়ার নামে দেয়ালে দেয়ালে চিকা মারা হয়েছিল। শুধু বিএনপি নামের দলটি কি এই কাজ করেছিল? যেসব শিক্ষিত মানুষ পাকিস্তানকে অন্তরে ধারণ করেন, তারাই মূলত খালেদা জিয়ার পরামর্শক ছিলেন। তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আওয়ামী ছদ্মাবরণে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, যারা সদ্য ফিরে আসা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ক্রমাগত চাপের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলেন। আইয়ুব খানের সেই উক্তির বঙ্গানুবাদ করে তারা লিখেছিলেন—‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই।’ আমরা বিগত চার দশক ধরে তার নমুনা ভালোই দেখতে পাচ্ছি। ১৯৬৭ সালে সেই বই প্রকাশিত হয়েছিল ‘Oxford University Press’ থেকে। সেই বই প্রকাশিত হওয়ার ২৪ বছর পর ১৯৯১ সালে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে ৫০ কোটি পাকিস্তানি রুপি দেওয়া হয়েছিল। এই টাকা দেওয়া হয়েছিল ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সময়। খোদ আইএসআইর তৎকালীন প্রধান লে. জেনারেল আসাদ দুররানি ২০১২ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ খবর বাংলাদেশের মিডিয়ায়ও প্রচারিত হয়েছে। ২০১২ সালে ১৭ মার্চ ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।


Ex-ISI chief admits funding BNP polls '91


Former ISI chief Asad Durrani has admitted funding BNP during the 1991 parliamentary elections.


The admission came during a Pakistan Supreme Court hearing on the spy agency's mandate on Wednesday.


A three-member bench of the apex court headed by Chief Justice Iftikhar Muhammad Chaudhary grilled the former spy boss on Inter Services Intelligence's funding for politicians both in and outside Pakistan.


Recently a UAE-based daily had alleged that ISI paid Rs 50 crore to BNP Chairperson Khaleda Zia ahead of the 1991 elections in which the party won and formed the government.


There are allegations that the ISI has been active in Bangladesh whenever BNP has been in power (1991-96) and later during 2001-06.


The spy agency was also alleged to have launched a campaign from Bangladesh to destabilise the Northeast by patronising and providing logistic support, including funds, to the insurgent groups operating from Bangladesh.


পৃথিবীর কোনো দেশের সাবেক সরকারপ্রধান অন্য দেশের পত্রিকায় দেশবিরোধী লেখা ছাপিয়েছেন কি না, আমার জানা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে “ZIA: The thankless role in saving democracy in Bangladesh: Corruption and stealing threaten a once-vibrant nation.”


শিরোনামে বাংলাদেশের তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রবন্ধটিতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করেছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি লেখাটি ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশের পর পরই ব্যাপক আলোড়ন তোলে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পাঠক মহলে। ওই প্রবন্ধে খালেদা জিয়া বলেন—বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদাসীন থাকলে তাদেরও এর দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে। কারণ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আনুগত্য অন্যান্য উদীয়মান পরাশক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারপর তিনি লিখেছেন, তার মানে এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য এজেন্সি কিছুই করছে না। পাঠক একটা বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ করে থাকবেন যে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিএনপি যে সরাসরি বিরোধিতা করেছে, তার সুস্পষ্ট স্বীকার উক্তি এই লেখার মধ্যে আছে। লেখা প্রকাশের ছয় মাস আগে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্প পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন প্রত্যাহার করেছিল এবং এই প্রকল্পে দুর্নীতি ও অর্থ তছরুপের তদন্ত করার পরামর্শ দিয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা—খালেদা জিয়ার ওই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হওয়ার বিষয়টি তার কাছে অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক বিষয় ছিল। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জিএসপি সুবিধা বাতিলের পেছনে যে লবিস্টের মাধ্যমে বিএনপি এবং তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্র ছিল, এটি খালেদা জিয়ার লেখাতেই পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। খালেদা জিয়া লিখেছেন, ‘তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের) অবশ্যই শেখ হাসিনাকে বোঝাতে হবে যে, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হবে যদি তার রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরোধী ও শ্রমিক অধিকার নিয়ে সচেষ্ট ব্যক্তিদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া না হয়।’ খালেদা জিয়া তার লেখায় বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের সমালোচনা করেন। খালেদা জিয়া লেখেন, ‘তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের) এসব পদক্ষেপ হতে হবে অবশ্যই শক্তিশালী ও দৃশ্যমান—যেন আমাদের জনগণ তা দেখতে এবং শুনতে পারে। এর মাধ্যমেই সারা বিশ্বকে গণতন্ত্রায়নে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের মিশন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও সারা বিশ্বের বিশেষ কিছু করার এখনই উপযুক্ত সময়।’ নিবন্ধ প্রকাশের পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সভায় মওদুদ আহমদ বলেছিলেন, ‘সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। এসব বিষয়ে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে নিবন্ধ লিখেছেন। গণতন্ত্রকে সুরক্ষা করার জন্য এই নিবন্ধ লেখা হয়েছে।’ সরকারি দলের নেতাদের সমালোচনার জবাবে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সরকারের আঁতে ঘা লেগেছে বলেই বিরোধীদলীয় নেতার প্রকাশিত নিবন্ধ নিয়ে গতকাল (৩১ জানুয়ারি) সংসদে কুরুচিপূর্ণ ভাষার সমালোচনা করা হয়েছে। তাদের সমালোচনাই প্রমাণ করে বিরোধীদলীয় নেতা নিবন্ধে সত্য কথা বলেছেন।’ মওদুদের পাশাপাশি মির্জা ফখরুলও ৬ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, ‘দেশের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরতে বিরোধীদলীয় নেতা এই নিবন্ধ লিখেছেন। দেশের নাগরিক হিসেবে তিনি (খালেদা জিয়া) তা লিখতেই পারেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us